.
.
প্রিতি রেগেমেগে নিচে গেলো। সাফা প্রিতিকে দেখে বলে ওইযে ভাবি আসছে।। মা আর সাফা সোফায় বসে ছিলো।মা আমাকে দেখে বলে
মা :ঘুম হয়েছে মা??
প্রিতি:হে হয়েছে।। ( মা তোমাকে যদি বলতে পারতাম


মা আমাকে খাবার টেবিলে নিয়ে গেলো। বসো মা খেয়ে নাও।। আমি বসলাম।।
মা:জিহান উঠেনি এখনও??
প্রিতি: হে উঠেছে। বসে আছে।।
মা: ওকে ডাকনি যে??
প্রিতি:ডেকেছিলা
মা: আচ্ছা তুমি খেয়ে নাও।।
প্রিতি খেতে পারছে না। বার বার সিঁড়িটার দিকে তাকাছে।। জিহানের অপেক্ষায়।।প্রিত
প্রিতি: আমি সবাইকে ভাত তুলে দি আমি একটু পরে খাবো।।
সাফা : বুঝেছি ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা।।


প্রিতি আর কিছু বললো না।। সবাই খেয়ে যে যার রুমে চলে গেছে আধঘণ্টা হয়ে গেছে জিহানের কোন খবর নাই।। সিঁড়িটা দিয়ে কে যেন নামছে জিহান হবে প্রিতি তাড়াতাড়ি এক প্লেট ভাত নিয়ে খেতে বসে যায় যাতে না লাগে সে জিহানের জন্য অপেক্ষা করছে।।
জিহান: আর কত খাবি?? কাল থেকে এক প্লেটের বেশি খাবিনা।। তোরে খাওয়ার জন্য রাখিনাই।। কষ্ট দেওয়ার জন্য রাখছি।
এই বলে প্রিতির খাবার প্লেটে পানি দিয়ে দিলো।। প্রিতি তো মাত্র খেতে বসেছে।। সে রেগেমেগে আগুন।। জিহানের দিকে এমনে তাকাই আছে যে এখন তাকে খেয়ে ফেলবে।। উঠে দাঁড়ালো প্রিতি। জিহানের পায়ে তার পা দিয়ে শক্ত করে চাপা দিলো আর উপরে উঠে যাচ্ছিলো।।
জিহান: আহহ!! এই মেয়ে তোর সাহস তো কম না।।
প্রিতি: এখনও সাহসের কি দেখলে??


প্রিতি রুমের বারান্দায় থাকা চেয়ারটাতে বসে বসে ভাবছে তার বাপেরবাড়িতে কিছু বলা যাবে না।। তার বাবা অনেক সখ করে তাকে বিয়ে দিয়েছে আর তারা।অনেক কষ্ট করে চলে তাদের বলে আর কষ্ট দেওয়া যাবেনা।।
প্রিতি তো বেশি কিছু চাই নি একটা সুখি পড়িবার চেয়েছিলো তা কি তার অপরাধ?? তার সাথে এমন কেন হলো।।
হটাৎ প্রিতির হাত ধরে টান দিয়ে জিহান দেয়ালের সাথে শক্ত করে ধাক্কা দিলো।।
প্রিতির খুব বেশি লেগেছে। তার চোখে পানি চলে আসছে।।
জিহান:কি মনে হয় তোর আমি এখানে তোকে আদর করার জন্য আনছ? সপ্নে থাকিস না।। তুরে আমি কষ্ট দিতে বিয়ে করছি।। বেশি চালাকি করলে বাড়িতে থাকার জায়গা পাবিনা।।l


প্রিতি কিছু বলছে না। তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।। জিহান তার চোখে পানি দেখে ছেড়ে দিয়ে রুম থেকে বাইর হয়ে গেলো।
প্রিতি ব্যাথার জন্য নড়তে পারতেছ। তাই আস্তে আস্তে ওই জায়গাই বসে পড়লো।। কান্না করছে শুধু।। সারারাত কান্না আর সকালে কিছু না খাওয়ার কারনে তার ক্লান্ত লাগছে প্রিতির ঘুমিয়ে গেলো।।
এক গ্লাস পানি দিলো তার মুখে জিহান।। চমকে উঠলো প্রিতি।। তার নাকে পানি ডুকে গেছে।। রেগেমেগে ফুলছে প্রিতি।।
জিহান :- তোরে এখানে ঘুমানোর জন্য রাখছি আমি?? উঠ আজকে থেকে আমার কথা ছাড়া ঘুমাবিনা
। যা আমার জন্য চা করে নিয়ে আয়।।
প্রিতির এতো রাগ লাগছিলো যে।সে পারছেনা জিহানের চুল গুলা টেনে দিতে।।
মনে মনে বলছে আমার জনাব চা খাবে তাইনা?? অনেক সখ চা খাওয়ার।।



১০মিনিট পর প্রিতি হাতে একটা চায়ের কাপ এনে জিহানের হাতে দিলো।। জিহান তার হাত থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে খাওয়া শুরু করলো।।
প্রিতি আয়নার সামনে বসে চুল ঠিক করছে আর গুন গুন করে গান করছে।। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।।
জিহানের চা একটু গরম ছিলো তাই সে চায়ের কাপে ফু দিচ্ছে প্রিতির গান শুনে বলে এই চুপ কর।। তোরে গান করতে কে বলছে??
প্রিতি: আচ্ছা সরি।। বলে গান অফ করে দিলো।।


জিহানের চা ঠান্ডা হতেই এক সিপে সব চা খেয়ে ফেললো।। তারপর..........




জিহান লাফাতে লাফাতে: এই হারামজাদি কি দিয়েছিস চায়ে?? ঝাল কেন??
প্রিতি: কেন?? ঝাল যখন হয়েছে মরিচই হবে।।


জিহান: চায়ে মরিচ দেয়!!

প্রিতি: ভাষা ঠিক করেন।।


জিহান বিছানার পাশে থাকা টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে দেখে এতে পানি নাই।। উফফফ! একটু আগে তো এই পানি এই হারামজাদিটার মুখে মারছিলাম।।
জিহান: যা আমার জন্য পানি নিয়ে আয়।। তাড়াতাড়ি যা।। এক প্রকার লাগাছে জিহান।।
প্রিতি হাসছে জিহানের অবস্থা দেখে তারপর বিছানার নিচ থেকে পানির গ্লাসটা জিহানের হাতে দিলো জিহান পানি তাড়াহুড়া করে পানি তা খেলো।। যুদ্ধ করে শেষ করলো সে পানি
জিহানের মুখ দিয়ে কথা আসছে না।। এতো ঝাল সে।আর কোনদিন খাই নি।। বিছানাই বসে পড়লো।।
প্রিতি: এখনও শুরু জনাব।। এখনও শুরু।।


জিহান তাকিয়ে আছে প্রিতির চলে যাওয়ার দিকে।। এই মেয়েকে সে কষ্ট দেওয়ার জন্য আনছে??






জিহান ভাবতে রইলো প্রিতিরে জব্দ করার কথা এই খেয়ালে সে আজকে সারাদিন নেশা করেনি।। তার খিয়ালই নেই যে সে একজন মাদকাসক্ত ছেলে।।
প্রিতির ব্যাথা এখনও আছে।।তাও সে কাউকে বলেনি।।


সন্ধায় সবার জন্য চা বানালো।। সবাই বাইরের বাগানের চেয়ারে বসেছে।। গিয়ে দেখি জিহানও ওখানে বসেছে।। দেখে একটু বাকা হাসি দিলাম সে রেগেমেগে দেখেতে রাক্ষাসের মত লাগছে।। এমনে সাদা তার উপর রেগে একদম লাল হয়ে গেছে।। দেখতে বেশভালোই লাগছে প্রিতির।।
সবাইকে চা দিলো।। সবাই চা খাচ্ছে।। জিহানকেও দিতে চাইলাম সে খাচ্ছে না।



প্রিতি: আরে নিন নিন কিছু হবেনা।।
জিহান : নো থ্যাংকস।। আমি খাবো না।।
মা: আরে খেয়ে নে।। অনেক ভালো হয়েছে।। বউ মা তো খুব ভালো চা বানায়।। মাশাল্লাহ।।


সাফা: আরে ভাই খা খা অনেক ভালো হয়েছে।। না খেলে মিস করবি।।
প্রিতি: ভয় নেয় খান খান।।



জিহান একপ্রকার টেনে নিলো চায়ের কাপটা।।


খাচ্ছেনা তাকায় আছে চায়ের দিকে।।


প্রিতির এই সিনটা দেখতে কত হাসি পাচ্ছে।।


প্রিতি জিহানের কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে বললো: জিহান সাহেব খেয়ে নিন ভয় নেই।। চা বানিয়েছি।।


জিহান: একটু আগেও চা বানিয়েছিলি।।


অনেক ভয় নিয়ে খেলো জিহান।। তারপর যখন দেখলো যে এইটা তখন যেন শান্তি পেলো।।


প্রিতি দেখে যে কি মজা নিচ্ছে।


রাত হয়ে গেছে আর কি করা যায় সাহেবের সাথে ভাবছে প্রিতি




রাতে খাবার টেবিলে জিহান ভয় পাচ্ছিলো







প্রিতি জিহান আসার আগেই তার বালিশটা নিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়লো।।
জিহান রুমে ডুকে যখন দেখলো প্রিতি আরাম করে ঘুমাচ্ছে তখন রাগে তাকে একটা লাথি মারতে গিয়ে আর মারলো না।।



সে নিজের জায়গাই এসে ঘুমিয়ে গেলো।।
সকালে প্রিতি উঠে দাঁড়িয়ে আছে জিহানের বিছানার সামনে হাতে তার এক মগ পানি।।


কয়েকবার আস্তে আস্তে জিহান সাহেব জিহান সাহেব বলে ডাকলো যাতে বলতে পারে যে তাকে ডাকছিলো সে যখন উঠে নাই তাই তার এই কাজ করতে হইছে।।



যেই কথা সেই কাজ দিলো মেরে।।


লাফাইয়া উঠছে জিহান।। একটু হলে যেনো heart attack করতো।।



জিহান: প্রিতিইইইইইইইইই
প্রিতি:









( চলবে)
No comments:
Post a Comment