Sunday, December 16, 2018

[Basic]Root কি?কেন করবেন?রুট করলে কি হয়?





আসসালামু আলাইকুম

আজকের টপিক→রুট কি? কেনো করবেন।রুট করলে কি হয়?
লেখাটা একটু বড় তবে খুব সহজ ভাবে লেখা সবাই বুঝবেন আশা করি।এই লেখাটি তাদের জন্যই যাদের রুট নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। আমি চেষ্টা করবো একেবারে খুটিনাটি পর্যন্ত জানাতে।
চলুন জেনে নিই →

রুট কী


রুট বলতে মূলকে বুঝায় মানে গাছের মূল। কিন্তু স্মার্টফোনে রুট চ্ছে একটি পারমিশন বা অনুমতি। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন আনরুট মানে আপনাকে একটা বদ্ধ ঘরে আটকানো রুট করলে আপনি উন্মুক্ত।উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না (যেগুলো সাধারণত সি ড্রাইভে থাকে)
লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজগুলো করা যায় না। যিনি লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন অথবা যার সব কিছু করার অনুমতি রয়েছে, তাকেই রুট ইউজার বলা হয়।

আপনার ডিভাইসকে কেনো রুট করবেন?


ডিভাইস রুট করার কারণ একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে। কেউ ডিভাইসের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য বা ইন্টারনাল মেমোরি খালি করার জন্য রুট করে থাকেন, কেউ ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে ডিভাইসের গতি বাড়ানোর জন্য রুট করেন,কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করা ডেভেলপারদের তৈরি বিভিন্ন কাস্টম রম ব্যবহার করার জন্য,কেউ বা আবার রুট করার জন্য রুট করে থাকেন। অনেকে না জেনে প্রথম রুট করে কোনো কারণ ছাড়াই।

রুট করলে যা যা সুবিধা পাবেন

① পারফরমেন্স বাড়ানোঃ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা। অনেক অ্যাপস আছে যারা স্ক্রিন অফের পর ও কাজ করে রুট থাকলে অন্য অ্যাপস দিয়ে সহজেই ফোর্স স্টপ করে রাখা যায়। ব্যাটারির ব্যাকআপ অনেক বেড়ে যাবে।
② ওভারক্লকিং করাঃ সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।
③ আন্ডারক্লকিং করাঃ যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
④ কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।
⑤ কাস্টম রম: ইন্সটল করার সুবিধা। অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার ফোনকে সম্পূর্ণ নতুন একটি ফোনে রূপ দিতে পারবেন এর মানে এই না যে সিম্ফনি আইফোন হবে মানে ইউজার ইন্টারফেস পরিবর্তন হবে । বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল থেকে ৩০ মেগাপিক্সেল হবে না, কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে বেশ পরিবর্তন।
⑥ এমন কিছু অ্যাপস আছে যা ব্যবহার করতে অবশ্যই আপনাকে রুট ইউজার হতে হবে। সেটা হয়তো এতো দিনে বুঝে ফেলেছেন। যেমন Lucky patcher, কিংবা wifi হ্যাকিং।

রুট করার ফলে যা অসুবিধা হয়


① ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।
② ফোন ব্রিক করাঃ ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা। অর্থাৎ, এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে তবে না হবার সম্ভাবনা ই বেশি🤗। আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যেন এর কিছু নির্দিষ্ট স্টেপের বাহিরে না যেতে পারেন । রুট করলে স্টেপ ভেঙ্গে ফেলছেন।

বি.দ্রঃ সব অ্যান্ড্রোয়েড ডিভাইস ই রুট করতে পারবেন।রুটের অসুবিধার থেকে সুবিধাই বেশি।

No comments:

Post a Comment