অজান্তে
কখন ভালোবেসে ফেলেছে অপলা নিজেই জানেনা। তার ভালোবাসা রেহমান। তিনি তাদের পাশের বাড়ীতে থাকেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর আমেরিকা কাটিয়েছেন তিনি। এখন অবসর সময় টা নিজের দেশে থাকবার জন্য এসেছেন।
অপলাদের ফ্লাটের পাশেই বিশাল জায়গা নিয়ে বাড়ীটা।
একাই থাকেন। অবশ্য একজন মালি কাম কেয়ারটেকার আর একজন দারোয়ান আছে। আর আমেরিকায় আছে তার বাইশ বছর বয়েসি বিবাহিত এক মেয়ে। অপলারও বাইশ।
অপলাদের ফ্লাটের পাশেই বিশাল জায়গা নিয়ে বাড়ীটা।
একাই থাকেন। অবশ্য একজন মালি কাম কেয়ারটেকার আর একজন দারোয়ান আছে। আর আমেরিকায় আছে তার বাইশ বছর বয়েসি বিবাহিত এক মেয়ে। অপলারও বাইশ।
হঠাৎ এক শুনশান রাতে অপলা দেখছিল আধার বাড়িটাতে আলো ঝলমল করছে। কে এল এ কৌতুহল থেকে রেহমান এর সাথে পরিচয়। ফোন নম্বর নেওয়া।
তারপর ছ'মাস হল প্রতিদিন তাদের কথা হয়। কথা হয় প্রায় সারারাত। অপলা জেনেছে তার স্ত্রীর মৃত্যুর কথা,বুঝেছে কত একা মানুষটা।এখানে কোন বন্ধু নাই তার। আত্মীয় যারা আছে প্রথম প্রথম এলেও এখন কম আসে। সকলেই ব্যস্ত। বড় একা সে।
তারপর ছ'মাস হল প্রতিদিন তাদের কথা হয়। কথা হয় প্রায় সারারাত। অপলা জেনেছে তার স্ত্রীর মৃত্যুর কথা,বুঝেছে কত একা মানুষটা।এখানে কোন বন্ধু নাই তার। আত্মীয় যারা আছে প্রথম প্রথম এলেও এখন কম আসে। সকলেই ব্যস্ত। বড় একা সে।
ভার্সিটি পড়ুয়া অপলা স্বাধীন জীবন যাপন করে।মা, বাবা ভীষণ বিশ্বাস করে অপলাকে।কারন সে বার বার বলেছে বিয়ে বিষয়টা বাবা মার হাতে থাকা উচিৎ এতে নিজের ঝামেলা কম থাকে। মা,বাবা নির্ভর অপলার জীবনে তাই প্রেম আসেনি। তাছাড়া সুন্দরি অপলার কাউকে পাত্তা না দেওয়ার একটা অভ্যাসও ছিল।কখন যেন অপলা নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে।
অপলা ভাবে কাকে ভালোবাসি আমি,ওর একাকিত্বকে,নাকি ওর সব? রেহমানকে কখনো বলেনি
অপলা ভালোবাসি। তবে কথা আচরণে বুঝিয়েছে, নিজেও বুঝেছে। সেদিন রেহমান বলছিল তোমার বয়েসি মেয়ে আছে আমার, সাথে সাথে অপলা বলেছিল থাকতে পারে তবে আমি তোমার মেয়ে নই। অপলার তৃতীয় নয়ন রেহমান এর চোখে ভালোবাসা দেখতে পায়। দেখতে পায় তার জন্য অপেক্ষা, কাছে পাওয়ার আকুতি। এগিয়ে চলে নিরব ভালোবাসা।
অপলা ভালোবাসি। তবে কথা আচরণে বুঝিয়েছে, নিজেও বুঝেছে। সেদিন রেহমান বলছিল তোমার বয়েসি মেয়ে আছে আমার, সাথে সাথে অপলা বলেছিল থাকতে পারে তবে আমি তোমার মেয়ে নই। অপলার তৃতীয় নয়ন রেহমান এর চোখে ভালোবাসা দেখতে পায়। দেখতে পায় তার জন্য অপেক্ষা, কাছে পাওয়ার আকুতি। এগিয়ে চলে নিরব ভালোবাসা।
একরাতে অপলা আর রেহমান কথা বলছিল।অপলা বার বার অনুরোধ করছিল বাসায় আসবার জন্য। রেহমান বলেছিল পরশু আসবো। কাল আমার এক জনের সাথে দেখা করবার কথা রয়েছে।
পাগলের মত ফোন করে যাচ্ছে অপলা। বন্ধ।কি হয়েছে ওর? সকাল হবার জন্য অপেক্ষা। সকালে ছুটে যায় ও বাড়িতে অপলা। দারোয়ান জানায় স্যার চলে গিয়েছেন। আর কোন দিন আসবেন না। বলে গিয়েছেন আমাদের দেখাশোনা করতে।কোনদিন হয়তো ওনার মেয়ে আসতে পারে। স্যার আর আসবেন না।
অবাক অপলা। ঘরে কাঁদছে সে। দরোজা বন্ধ। অপলা চায়না কেউ তার চোখের জল দেখুক।আর পাশের ঘরে নির্বাক অপলার মা। জানে মেয়ে কাঁদছে। তবু চুপ তিনি। মনে মনে ভাবছেন সব মেয়ের জীবনে প্রথম ভালোবাসা কি ভুল মানুষের সাথে হয়? নাকি আমি আর আমার মেয়ে ভুল মানুষকে পেয়েছিলাম।রেহমা ন তুমি একটা ভুল মানুষ।
গতকাল বিকেলে দেখা করতে গিয়েছিল রেহমান অপলার মা সুস্মিতার সাথে।যাকে একসময় সে আদর করে ডাকতো মন।
No comments:
Post a Comment